মায়ের কোলে স্বপ্নমাখা এক টুকরো মধুর হাসি

মায়ের কোলে স্বপ্নমাখা এক টুকরো মধুর হাসি

এটি শুধু ছবিই না…!!
একটি হাসি, একটি ইন্সপারেশন।
মায়ের কোলে স্বপ্নমাখা এক টুকরো মধুর হাসি।
এই হাসিটুকু হয়তো কখনো কখনো তার মায়ের চোখে সুখের অশ্রুজলও এনে দেয়।
মুহূর্তটি আমার কাছে জগতের সবথেকে সুখী মুহূর্তগুলোর মাঝে একটি।
খুব কম করে হলেও এমন মুহূর্ত সকলের জীবনে একবার না একবার আসে।
এবং তা শিশুকালেই…
অপ্রিয় হলেও সত্য যে,
মুহূর্তটা চিরকাল সবার জীবনে স্থায়ীত্ব পায় না।
নানান প্রতিকূলতা, হাসি-কান্নার মাঝেই ক্ষুদ্র সময়ের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাই মৃত্যুর দিকে।
তবে কিছু মানুষ আছে, যারা তাদের জীবনের অন্তিম বেলায় ঠিক এভাবে হাসতে পারে।
মরে গিয়েও তারা চিরকাল এভাবেই হাসে।
মায়ের কোলে না হোক, মানুষের হৃদয়-মাঝে।
এটুকুই বা কম কিসে?
কজনই বা পেরেছে এমন করে চিরকাল বাঁচতে…!!
কজনই বা পেরেছে তার জননীকে “স্বর্ণগর্ভা” উপাধি দিতে…!!
এমন মহামানবদের সংখ্যা নিতান্তই কম।
হোক কম, জগতে এর অস্তিত্ব তো আছে…!!
তারা পারলে আমরা কেন নই…!!
আমাদের মত মানব থেকেই তারা মহামানব হয়েছেন।

সুখের কথা এই যে,
আমরা সকলেই এমন একটা জীবন চাই।
কিন্তু,
কর্মগুনে সফল হই না।
ভাগ্যকে দোষারোপ করি।
আসলে,
ভাগ্য গড়তে হয় নিজ হাতে, নিজ চেষ্টায়।
কাজী নজরুলের জীবন দেখুন,
মৃত্যুর পরেও এক টুকরো হাসির মত এখনো আমাদের হৃদয়ে বেঁচে আছেন।
ভাগ্য, জরা-জীর্ণতা, অভাবকে জয় করে সে তার অবস্থান গড়ে নিয়েছেন।
আর এভাবেই যুগের পর যুগ তিনি বেঁচে থাকবেন সকলের অন্তর-মাঝে।

আসুন চেষ্টা করি,
মহামানব হবার…!!
হ্যাঁ… অবশ্যই মহামানব হবার।
এমন ইচ্ছাকে হাস্যকর ভেবে উড়িয়ে দিবেন না।
তাদেরকে না ছুঁতে পারি, অন্তত সংস্পর্শে থাকতে পারবো।
মৃত্যুর পরেও মানুষের মাঝে চিরকাল বাঁচার ইচ্ছে হৃদয়ে পোষণ করুন।
তদানুযায়ী কাজ করুন।
বেঁচে থাকবেন।
আমি চিরকাল বেঁচে থাকতে চাই।
হাতের কাছে যা আছে, তাই দিয়ে নিজেকে প্রতিনিয়ত সাজাই।
প্রতিদিন অসংখ্যবার ছবিটির দিকে চোখ রাখি।
অনুভূতিটুকু উপভোগ করি।
একটু সাহস পাই।
সামনে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা খুঁজে পাই।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply